বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

রূপগঞ্জের মহাসড়কে ট্রাফিকের টোকেনে চলে অবৈধ যানবাহন

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: সরকারের কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও গাজীপুর-চট্রগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে তিন চাকার যানবাহনের দাপট বন্ধ হয়নি। অনেক যানবাহন আটক করার পরও এই অনিয়ম ঠেকাতে পারছেনা ট্রাফিক পুলিশ। জানা গেছে,ট্রাফিক পুলিশের টোকেন নিয়ে মহাসড়কে চলছে সিএনজি চালিত তিন চাকার অটোরিকশা। আগে চালকদের হাতে পুলিশের টোকেন থাকত। আর এখন অটোতেই লাগানো থাকে একটি স্টিকার। ভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন টোকেন লাগানো থাকে এসব যানবাহনে। সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার গোলাকান্দাইল মহাসড়কে প্রকাশ্যে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা,ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান,ভটভটিসহ বিভিন্ন প্রকারের তিন চাকার যানবাহন। কখনো কখনো ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় থ্রি-হুইলারের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অধিকাংশ সময় অবাধে চলছে এসব যানবাহন। বিশেষ করে ভোর ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বিনা বাধায় থ্রি-হুইলার বা কমগতির বাহন যাত্রী নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করছে।গোলাকান্দাইল সাওঘাট সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ভূলতা পর্যন্ত অটোরিকশা চালক রাসেদ,চালক ইলিয়াস মিয়া,রফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন,ট্রাফিক পুলিশের স্টিকারের ১ হাজার টাকা ও নেতাকে দিতে হয় ১ হাজার ও প্রতিদিন দিতে হয় ৮০ টাকা করে। অনেকেই জানান, মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করলে ট্রাফিক পুলিশ কে চাঁদা দিতে হয়। আর ট্রাফিক পুলিশ কে চাঁদা না দিলে রেকার দিয়ে আটোক করে নিয়ে বক্সের সামনে নিয়ে যায়। পরে ২ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে হয়। তারা আরো বলেন, মহাসড়কে চলাচলের জন্য সমিতির মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশের মাসিক চাঁদা তো দিতেই হয়। এক সিএনজি চালক বলেন,গ্যাস নিতে পাম্পে যাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। পাম্পে যাওয়ার সময় অনেক সময় পুলিশ বাহন আটক করে এবং টাকা ছাড়া তা ছাড়ানো যায় না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com